আমরা একটা কাল্পনিক গল্প ফাঁদব। মানে আমি আর গল্পের চরিত্র হাসান মিলে। তবে কাকতালীয়ভাবে বাস্তবের সঙ্গে কোনো চরিত্র মিলে গেলে তার দায় আমাদের কারোরই নয়।
শুরুতেই গল্পের প্রধান চরিত্র হাসানের বিষয়ে কিছু বিষয় পরিষ্কার করে নেওয়া যাক। গ্রামের স্নিগ্ধ প্রকৃতির গভীর মমতায় বেড়ে ওঠা হাসানের মধ্যে একটা সেকেলে ভাব বিদ্যমান। জীবনের অর্ধেকটা সময় পার করে এসেও তার স্বভাবে ভদ্রলোকদের ভন্ডামিটা জায়গা করে নিতে পারেনি। সামনা–সামনি সাধুকে সাধু এবং চোরকে চোর বলার সৎসাহস তার আছে। তার জন্য যে তাকে বিপদে পড়তে হয়নি ব্যাপারটা এমন নয়। কিন্তু এতেও তার স্বভাবের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এই স্বভাবের সঙ্গে আপস করতে না পারার কারণেই হয়তোবা তাকে প্রবাসে থিতু হতে হয়েছে। কথায় আছে ‘নগরে আগুন লাগলে দেবালয় এড়ায় না’। তাই প্রবাসেও দেশের সাধু মানুষের পাশাপাশি ধানের চিটার মতো চোর এসে হাজির হয়েছে। হাসানের সঙ্গে সেসব সাধু এবং চোরেদের সম্পর্ক এবং সংঘাতই এই গল্পের বিষয়বস্তু। অনেকেই হয়তোবা এই গল্পের সঙ্গে বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক অবস্থার তুলনা খুঁজে পেতে পারেন। তার দায়ও আমরা নিচ্ছি না। আমরা শুধু গল্পটা বলতে চাই।