মাত্র ১২০ টাকার আবেদন ফি দিয়েই নিজ যোগ্যতায় পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন মেহেরপুরের ৯ যুবক। স্বচ্ছ ও আধুনিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হওয়ায় উচ্ছ্বাসে ভরে গেছে প্রার্থীদের মুখ।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে মেহেরপুর পুলিশ লাইনস ড্রিলশেডে ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী।
ফলাফল ঘোষণার আগে প্রার্থীদের চোখেমুখে ছিল উৎকণ্ঠা। কে পাবে সেই কাঙ্ক্ষিত চাকরি—এমন অস্থিরতায় কাঁপছিল প্রত্যেকের হৃদয়।।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে যখন উত্তীর্ণদের নাম ঘোষণা করতে শুরু করেন, তখন প্রার্থীদের চোখে-মুখে মিশে ছিল অশ্রু আর হাসির আবেগ। চূড়ান্ত তালিকায় নিজের নাম শুনে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন অনেকেই।
নিয়োগ প্রাপ্ত গাংনী উপজেলার মহাব্বতপুর গ্রামের অমিত হাসান বলেন, মাত্র ১২০ টাকায় আবেদন করেই চাকরি পেয়েছি। আমি অত্যন্ত খুশি। সততা, দেশপ্রেম ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই।
আরেক নিয়োগ প্রাপ্ত মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের আশিক ইকবাল বলেন, ছেট থেকেই পুলিশের চাকরি করার স্বপ্ন দেখতাম। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এই অর্জন আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া।
আশিক ইকবালের বাবা মন্টু মিয়া বলেন, অনেক কষ্ট করে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছি। আজ তার মেধা ও পরিশ্রমের স্বীকৃতি পেলাম, এটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বিগত কয়েক বছর ধরে পরিবর্তিত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সারাদেশব্যাপী সুনামের সাথে স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ৫৫৫ জনের মধ্যে বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে ৯ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এছাড়া ২ জনকে অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে।