Saturday, October 11, 2025
Home » ইসলামে নাম বিকৃতি করার পরিণতি ভয়াবহ

ইসলামে নাম বিকৃতি করার পরিণতি ভয়াবহ

by mtv
0 comments
ইসলামের নাম বিকৃতি করার পরিণতি

নাম মানুষের পরিচয়ের অন্যতম প্রধান অংশ। একটি সুন্দর ও অর্থবহ নাম শুধু দুনিয়াতে নয়, আখিরাতেও মর্যাদা বয়ে আনে। ইসলাম নামের গুরুত্বকে অত্যন্ত জোর দিয়ে উল্লেখ করেছে।

রাসুল (সা.) সন্তানের সুন্দর নাম রাখতে বলেছেন এবং অনেকের নাম পরিবর্তনও করেছেন, যদি তাতে মন্দ অর্থ বা বিকৃত ধ্বনি থাকে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাদের সমাজে প্রায়ই নাম বিকৃতি বা নাম বিকৃতভাবে উচ্চারণ করার প্রবণতা দেখা যায়, যা ইসলামি শিক্ষার পরিপন্থী।

সঠিক নামে ডাকার গুরুত্ব

কোরআন ও হাদিসে বারবার বলা হয়েছে, মানুষকে তার নিজস্ব নামেই ডাকা উচিত।

আল্লাহ বলেন: “তোমরা একে অপরকে উপহাস করো না, একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। ঈমানের পর মন্দ নামকরণ অতি নিকৃষ্ট।” (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ১১)

রাসুল (সা.) বলেছেন: “তোমরা সন্তানদের সুন্দর নাম দাও, কারণ কিয়ামতের দিনে তোমাদের নাম ও পিতার নামে ডাকা হবে।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪৯৪৮)

নাম বিকৃতির ক্ষতি

নাম বিকৃতির অনেক রূপ হতে পারে, তবে সবচে’ খারাপ হলো, নামকে খারাপ অর্থে বা মন্দ ইঙ্গিত করে ডাকা। বা শারীরিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিলিয়ে নাম বিকৃত করে ডাকা।
এগুলো কেবল সামাজিকভাবে অশোভনই নয়, বরং ইসলামে নিষিদ্ধ। এতে ইসলামের অনেকগুলো বিধানের লঙ্ঘন হয়, যেমন:

১. অপমান ও ব্যঙ্গ – এটি অন্যকে কষ্ট দেওয়ার সমতুল্য, যা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

২. অর্থের বিকৃতি – নামের মূল অর্থ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে, যেমন “আব্দুল্লাহ” থেকে “আবু” বানালে দাসত্বের অর্থ হারিয়ে যায়।

৩. পরিচয়ের বিভ্রান্তি – সামাজিক ও আইনগত দিক থেকেও নাম বিকৃতি সমস্যার সৃষ্টি করে।

৪. আল্লাহর অপ্রসন্নতা – কোরআনেই সরাসরি বলা হয়েছে, কারও নাম বিকৃত করা ঈমান পরবর্তী অবস্থায় বড় গুনাহের কাজ।

Leave a Comment